ভালো ইঞ্জিন অয়েল চেনার উপায়
ভালো ইঞ্জিন অয়েল চেনার উপায়

ভালো ইঞ্জিন অয়েল চেনার উপায়

আপনি কী আপনার গাড়ি, নানান রকম মেশিনজাহাজের ইঞ্জিন-পার্টস ইত্যাদি ভালো রাখতে এবং এসব ড্যামেজ হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে ভালো মানের ইঞ্জিন অয়েল। ভালো ইঞ্জিন অয়েল চেনার উপায় যদি আপনার জানা থাকে, কেউ আপনাকে নকল পণ্য ধরিয়ে দেওয়ার সুযোগ পাবে না।

ইঞ্জিনের তাপমাত্রার ওপর ভিত্তি করে যথাযথ ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই অয়েল ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং ডিটারজেন্ট বা পরিষ্কারকারক (ফ্লাশিং) এজেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ইঞ্জিন অয়েল ইঞ্জিনে উৎপন্ন অতিরিক্ত তাপ কমাতে সাহায্য করে এবং এর পার্টসগুলোকে ক্ষয় হওয়া থেকে রক্ষা করে। নিচে ভালো ইঞ্জিন অয়েল চেনার উপায়গুলো আলোচনা করা হল।

যেভাবে চিনবেন ভালো ইঞ্জিন অয়েল

প্রতিটি মানসম্মত জিনিসের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে, যেগুলো দেখে সে জিনিসকে মানসম্মত বলা যায়। ভালো ইঞ্জিন অয়েলরও বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা দেখে এটাকে ভালো বলা হয়। নিচে ভালো ইঞ্জিন অয়েল চেনার উপায়গুলো আলোচনা করা হল:

ব্র্যান্ড ইঞ্জিন অয়েল

ভালো ইঞ্জিন অয়েল চেনার উপায়গুলোর অন্যতম হল এটি ব্র্যান্ডের কি-না তা যাচাই করা। ব্র্যান্ডের তৈরি অয়েলগুলো ইঞ্জিনকে ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে নন-ব্র্যান্ডের অয়েল অধিকাংশ সময় নকল হয়ে থাকে।

রিভিউ ও রিকমন্ডেশন

ভালো মানের ইঞ্জিন অয়েলগুলোর ব্যাপারে ব্যবহারকারীদের প্রচুর রিভিউ ও রিকমন্ডেশন থাকে। যা দেখে কোন অয়েল ভালো এবং কোনটা কেনা উচিৎ, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়।

প্যাকেজিং কোয়ালিটি

ভালো মানের ইঞ্জিন অয়েলগুলোর প্যাকেজিং কোয়ালিটি চমৎকার হয়ে থাকে। যা নকল ইঞ্জিন অয়েলের ক্ষেত্রে হয় না। এজন্য ইঞ্জিন অয়েল কেনার সময় প্যাকেজিং কোয়ালিটিকে গুরুত্ব দেওয়া।

অনুমোদন

ইঞ্জিন অয়েল কেনার সময় বোতলের গায়ে দেখতে হবে যে, এটি বাজারজাতের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন আছে কি-না। অনুমোদনের বিষয়টি উল্লেখ না থাকলে বুঝতে হবে এটি ভালো মানের ইঞ্জিন অয়েল নয়।

মূল্য

সস্তা জিনিস অধিকাংশ সময় ভালো হয় না। তাই ভালো ইঞ্জিন অয়েল চেনার উপায়গুলোর একটি হলো মূল্যের ব্যাপারে অবগত থাকা। মূল্য যদি বাজার স্ট্যান্ডার্ড হয় তাহলে ধরে নেওয়া যায় যে এটি মানসম্মত অয়েল।

নকল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করলে যেসব সমস্যা হয়

ভালো ইঞ্জিন অয়েল চেনার উপায় না জেনে যদি কেউ কিনতে যান, তাহলে নকল তেল হাতে চলে আসার সম্ভাবনা বেশি। নকল অয়েল ব্যবহার করলে ইঞ্জিনের নানান রকম সমস্যা হয়। কিছু সমস্যা নিচে তুলে ধরা হল:

আনস্মুথ গিয়ার শিফটিং

অনেক সময় দেখা যায় বাইক বা গাড়ির গিয়ার শিফটিং অনেক হার্ড হয়ে যায়, যা স্মুথ করা জরুরি হয়ে পড়ে। নকল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারে এ সমস্যার সমাধান করা যায় না। দিন দিন সমস্যা বাড়তেই থাকে।

স্মুথ ইঞ্জিন পারফরম্যান্স

গাড়ি বা মেশিনের ইঞ্জিন পারফরম্যান্স ভালো না হলে, আশানুরূপ গতিতে গাড়ি চলে না বা ইঞ্জিন কাজ করে না। ভালো মানের তেল না হলে ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স স্মুথ করা সম্ভব হয় না।

হিটিং সমস্যা

গাড়ি বা যে কোনো মেশিনের ইঞ্জিন যখন চলতে থাকে, একপর্যায়ে তা গরম হতে শুরু করে। নকল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করলে এ তাপমাত্রা বাড়তেই থাকে। কখনো কখনো অতিরিক্ত তাপমাত্রা ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনে।

ইঞ্জিন অয়েল পারফরম্যান্স সমস্যা

নকল বা নিম্নমানের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করলে হাইস্পীডে দীর্ঘ সময় গাড়ি, বাইক বা মেশিন চলার সময় ইঞ্জিন পারফরম্যান্স ছেড়ে দিতে থাকে। উন্নতমানের অয়েল ব্যবহার করলে এই সমস্যা দেখা দেয় না।

ভালো মানের সিগমা ইঞ্জিন অয়েল

কোথায় পাওয়া যাবে ভালো মানের ইঞ্জিন অয়েল?

ভালো ইঞ্জিন অয়েল চেনার উপায় জানার পর অনেকেই জানতে চাইবেন যে, এই অয়েল কোথায় পাওয়া যাবে? যেসব কোম্পানি ইঞ্জিন অয়েল তৈরি করে তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইট থেকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

আপনার বাসা বা অফিসের কাছে ইঞ্জিন অয়েল উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর ডিস্ট্রিবিউটর আছে কি-না, খোঁজ করুন। ডিস্ট্রিবিউটরদের থেকে ভালো মানের ইঞ্জিন অয়েল পাওয়া যায়। ডিস্ট্রিবিউটর না থাকলে নিকটস্থ বিশ্বস্ত কোনো দোকানে গিয়ে খোঁজ নিতে পারেন। এতে মিলে যেতে পারে কাঙ্ক্ষিত ইঞ্জিন অয়েল।

শেষকথা

সিগমা অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লি: বাংলাদেশের স্বনামধন্য লুব্রিকেন্ট অয়েল কোম্পানি। এই কোম্পানি মোটরসাইকেল ইঞ্জিন অয়েল, থ্রি হুইলার ইঞ্জিন অয়েল, প্যাসেঞ্জার কার ইঞ্জিন অয়েল, লাইট ডিউটি ইঞ্জিন অয়েল, হেভি ডিউটি ইঞ্জিন অয়েল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিন অয়েল, মেরিন ইঞ্জিন অয়েলএগ্রিকালচার ইঞ্জিন অয়েল উৎপাদন ও সরবরাহ করে থাকে। আপনার প্রয়োজনীয় ইঞ্জিন অয়েল সংগ্রহ করতে এখনই কল করুন।

যোগাযোগ করুন